স্ত্রী তাঁর স্বামীকে তালাক দিতে পারে কিভাবে
স্ত্রী তাঁর স্বামীকে তালাক দেওয়ার নিজস্ব কোন অধিকার বা এখতিয়ার বা ক্ষমতা নাই সেকারণে সরাসরি স্ত্রী তাঁর স্বামীকে তালাক দিতে পারে না।
স্ত্রী তাঁর স্বামীকে তালাক ৩টি পদ্ধিতিতে দিতে পারে :
১। তালাকে তফউইজ মাধ্যমে: ২। আদালতের মাধ্যমে তালাক: ১। খোলা এর মাধ্যমে তালাক:
স্ত্রী তাঁর স্বামীকে নিম্নেপ্রদত্ত সুনিদিষ্ট কারণগুলি দ্বারা বিবাহ বিচ্ছেদ বা তালাক দিতে পারবেন।
মুসলিম বিবাহ বিচ্ছেদ আইন ১৯৩৯, কি আছে দেখুন
"মুসলিম বিবাহ বিচ্ছেদ আইন ১৯৩৯" এই আইনের ২, ৩, ৪ ধারা ও উহার সকল উপধারা এর যেকোন একটি /একাধিক কারণ উল্লেখ করে স্ত্রী তালাকে তফউইজ এবং আদালতের মাধ্যমে স্বামীকে তালাক নোটিশ প্রেরণ করতে পারবেন। স্ত্রী এই আইনের যেকোন ধারা উপধারা বা কারণ উল্লেখ করে তালাকে তফউইজ এবং আদালতের মাধ্যমে স্বামীকে তালাক নোটিশ প্রেরণ করলে স্বামী উক্ত তালাক মেনে নিলে অথবা আদালতে অভিযোগ সত্য প্রমান করে তালাক কার্যকর হলে এই আইনের ৫ ধারা অনুসারে দেনমোহরের অধিকার খর্ব করিবে না বা এই আইনে সুনিদিষ্ট কারণ বা অভিযোগটি স্ত্রী সত্য প্রমাণিত করতে পারলে স্ত্রী দেনমোহর পাইবেন।
১। তালাকে তফউইজ মাধ্যমে:
ঐ দম্পতির বিবাহকালীন সময়ে কাবিননামার ১৮নং কলাম বা ঘরে স্বামী যদি স্ত্রীকে বিবাহ বিচ্ছেদ বা তালাক প্রদানের অধিকার /এখতিয়ার /ক্ষমতা অর্পণ করে থাকে, সেই ক্ষমতাবলে স্ত্রী যদি তাঁর স্বামীর নিকট থেকে বিবাহ বিচ্ছেদ চায় সে বিচ্ছেদ কে তালাকে তফউইজ বলে।
তালাকে তফউইজ ক্ষমতা দিলে /থাকলে বিবাহ রেজিস্ট্রিকালিন সময়ে কাবিননামার ১৮নং কলামে বা ঘরে হাঁ লেখা থাকে, সেক্ষেত্রে স্ত্রী কাজী অফিসের মাধ্যমে তাঁর স্বামীকে তালাক নোটিশ প্রেরণ করতে পারে। কিন্তু বিবাহ রেজিস্ট্রিকালিন সময়ে কাবিননামার ১৮নং কলামে বা ঘরে না লেখা থাকলে বা তালাকে তফউইজ ক্ষমতা না দেয়া থাকলে স্ত্রী তাঁর স্বামীকে কাজী অফিসের মাধ্যমে তালাক নোটিশ প্রেরণ বা তালাক দিতে পারবেন না। এমতাবস্থায় ঐ স্ত্রী তাঁর স্বামীকে তালাক দিতে চাইলে আদালতের মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করতে হবে।
তালাকে তফউইজ মাধ্যমে স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে তালাক দেয়ার নিয়ম :
তালাকে তফউইজ ক্ষমতাবলে স্ত্রী তাঁর স্বামীকে তালাক দিতে ইচ্ছা করিলে তালাক উচ্চারণ করিবার পরেই সে তালাক দিয়েছে বলিয়া পৌরসভা /ইউনিয়ন পরিষদের (স্বামী যে এলাকায় থাকে) মেয়র / চেয়ারম্যান কে লিখিত তালাক নোটিশ (রেজিস্ট্রিকৃত ডাকযোগে) প্রেরণ করতে হবে এবং স্বামীকে উহার একটি অনুলিপি বা কপি পাঠাইবে।
মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ ১৯৬১ অনুসারে তালাক দিতে চাইলে এই আইনের ৭ ধারা মতে তালাক দিতে হবে।
তালাকে তফউইজ ক্ষমতা দিলে /থাকলে বিবাহ রেজিস্ট্রিকালিন সময়ে কাবিননামার ১৮নং কলামে বা ঘরে হাঁ লেখা থাকে, সেক্ষেত্রে স্ত্রী কাজী অফিসের মাধ্যমে তাঁর স্বামীকে তালাক নোটিশ প্রেরণ করতে পারে। কিন্তু বিবাহ রেজিস্ট্রিকালিন সময়ে কাবিননামার ১৮নং কলামে বা ঘরে না লেখা থাকলে বা তালাকে তফউইজ ক্ষমতা না দেয়া থাকলে স্ত্রী তাঁর স্বামীকে কাজী অফিসের মাধ্যমে তালাক নোটিশ প্রেরণ বা তালাক দিতে পারবেন না। এমতাবস্থায় ঐ স্ত্রী তাঁর স্বামীকে তালাক দিতে চাইলে আদালতের মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করতে হবে।
তালাকে তফউইজ মাধ্যমে স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে তালাক দেয়ার নিয়ম :
তালাকে তফউইজ ক্ষমতাবলে স্ত্রী তাঁর স্বামীকে তালাক দিতে ইচ্ছা করিলে তালাক উচ্চারণ করিবার পরেই সে তালাক দিয়েছে বলিয়া পৌরসভা /ইউনিয়ন পরিষদের (স্বামী যে এলাকায় থাকে) মেয়র / চেয়ারম্যান কে লিখিত তালাক নোটিশ (রেজিস্ট্রিকৃত ডাকযোগে) প্রেরণ করতে হবে এবং স্বামীকে উহার একটি অনুলিপি বা কপি পাঠাইবে।
মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ ১৯৬১, কি আছে দেখুন
মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ ১৯৬১ অনুসারে তালাক দিতে চাইলে এই আইনের ৭ ধারা মতে তালাক দিতে হবে।
তালাক নোটিশ
মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ ১৯৬১ অনুসারে তালাক দিতে চাইলে এই আইনের ৭ ধারা এর ১ উপধারা মতে উপরের মত তালাক নোটিশ টি চেয়ারম্যান এবং স্বামীর নিকট প্রেরণ করতে হবে।
এবং সতর্ক করা হয়েছে এই আইনের ৭ ধারা এর ২ উপধারা মতে তালাক নোটিশ চেয়ারম্যান এবং স্বামীর নিকট প্রেরণ বা না পাঠাইলে ১ বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
এবং সতর্ক করা হয়েছে এই আইনের ৭ ধারা এর ২ উপধারা মতে তালাক নোটিশ চেয়ারম্যান এবং স্বামীর নিকট প্রেরণ বা না পাঠাইলে ১ বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
তালাক নোটিশ টি ৪টি কপি হবে: ফটোকপি অথবা কার্বন কপি
(উপরের মত) ৪টি কপি ৪ জনের কাছে দিতে হবে
১. চেয়ারম্যান বরাবর পাঠাইবেন (অবশ্যই ) ১ টি
২. স্বামী বরাবর পাঠাইবেন (অবশ্যই ) ১ টি
৩. নিজের কাছে রাখবেন ১ টি
৪. কাজী অফিস (বিবাহ / তালাক রেজিস্টার ) ১ টি
চেয়ারম্যান নিকট প্রেরনের জন্য (মূলকপি) তালাক নোটিশ টি খামে ভরান এবং স্বামী নিকট প্রেরনের জন্য (স্বামী কপি) তালাক নোটিশ খামে ভরানোর পর খামের উপর সঠিক নাম ঠিকানা লিখুন তারপর পোস্ট অফিসে যান।
(উপরের মত) ৪টি কপি ৪ জনের কাছে দিতে হবে
১. চেয়ারম্যান বরাবর পাঠাইবেন (অবশ্যই ) ১ টি
২. স্বামী বরাবর পাঠাইবেন (অবশ্যই ) ১ টি
৩. নিজের কাছে রাখবেন ১ টি
৪. কাজী অফিস (বিবাহ / তালাক রেজিস্টার ) ১ টি
চেয়ারম্যান নিকট প্রেরনের জন্য (মূলকপি) তালাক নোটিশ টি খামে ভরান এবং স্বামী নিকট প্রেরনের জন্য (স্বামী কপি) তালাক নোটিশ খামে ভরানোর পর খামের উপর সঠিক নাম ঠিকানা লিখুন তারপর পোস্ট অফিসে যান।
(নিচের ছবির মত )
পোস্ট
অফিসে গিয়ে চিঠি ২টি চেয়ারম্যান এবং স্বামীর ঠিকানায় রেজিস্ট্রি করুন:
রেজিস্ট্রি করার সময় পোস্ট অফিস আপনার কাছ থেকে রেজিস্ট্রি ফি বা
রেজিস্ট্রির টাকা নিয়ে আপনাকে স্লিপ বা টোকেন দিবেন। (স্লিপ বা টোকেন
সযত্নে সংরক্ষণ করবেন এটাই তালাক নোটিস প্রেরণ/ পাঠানোর গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট /উপাদান)। পোস্ট অফিসে চিঠি রেজিস্ট্রি করার পর পোস্ট অফিস নিধারিত সময়ে চেয়ারম্যান এবং স্বামীর ঠিকানায় চিঠি ২টি প্রেরণ /পাঠাইবেন।
চেয়ারম্যান/মেয়র, ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভা :
ডাক পিয়ন ইউনিয়ন/পৌরসভায় উপস্থিত হয়ে চেয়ারম্যান/মেয়র বরাবর চিঠি টি প্রদান করলে ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষ রেজিস্ট্রি চিঠিটি গ্রহণ করবেন এবং চিঠি টি ইউনিয়ন পরিষদ তাদের চিঠি রেজিস্টার বহিতে লিপিবদ্ধ করবেন।
স্বামীর ঠিকানায়:
ডাক পিয়ন স্বামীর ঠিকানায় উপস্থিত হয়ে স্বামী বরাবর চিঠি টি প্রদান করলে স্বামী রেজিস্ট্রি চিঠিটি গ্রহণ করবেন। উল্লেখ: স্বামী চিঠিটি গ্রহণে অস্বীকৃতি বা গ্রহণ না করলে ডাক পিওন চিঠিটি ফেরত নিবেন এবং ফেরত চিঠি হিসাবে স্ত্রী কে প্রদান করবেন।
পৌরসভা/ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক সালিসি পরিষদ গঠন ও তালাক বিষয়ে সিদ্ধান্ত :
পৌরসভা / ইউনিয়ন পরিষদ প্রাপ্ত তালাক নোটিশ গ্রহণ করার পর ৯০ দিনের মধ্যে সালিসি পরিষদ গঠন করবেন এবং স্বামী ও স্ত্রীকে সালিসি পরিষদে নিদিষ্ট তারিখে উপস্থিত /হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ প্রদান করবেন। (সালিসি পরিষদ পরপর ৩ বার নোটিশ জারি করতে পারবেন) উল্লিখিত তারিখে স্বামী-স্ত্রী সালিসি পরিষদে সমঝোতা বা আপোষ মীমাংসা করার চেষ্টা করবেন। স্বামী স্ত্রী যেকোনো (হাঁ /না) সমঝোতা বা আপোষ মীমাংসা হলে ভালো, ঐ দম্পতি সমঝোতা বা আপোষ মীমাংসা করে সংসার জীবন আবারো করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে তালাক টি প্রত্যাহার করতে হবে। (শর্ত স্ত্রী গর্ভবতী থাকলে তালাক কার্যকর হবে না)
এখানে পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদে গঠিত সালিসি পরিষদে স্বামী অথবা স্ত্রী কে হাজির হওয়ার নিদিষ্ট তারিখে যে কেউ (স্বামী স্ত্রী) ঐ সালিসি পরিষদে উপস্থিত বা হাজির না হন তাহলে পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ এর কোন কিছু করার নাই বা গঠিত সালিসি পরিষদে উপস্থিত বা হাজির হওয়া স্বামী বা স্ত্রীর জন্য বাধ্যতামূলক নয়।
তালাকে তফউইজ নোটিশের ফলে ২ ধরণের ফলাফল হয় :
ক) স্বামী তালাক মেনে না নিলে খ) স্বামী তালাক মেনে নিলে
ক) স্বামী তালাক মেনে না নিলে:
স্ত্রী কর্তৃক স্বামী তালাক নোটিসে উল্লেখিত কারণ /কারণগুলি স্বামী মেনে না নিলে বা কারণ /কারণগুলি মিথ্যা মনে হলে বা কারণ /কারণগুলি দ্বারা মুসলিম বিবাহ বিচ্ছেদ আইন অনুসারে ডিক্রি পাওয়ার যোগ্য নহে বা কারণ /কারণগুলি বিষয়ে সংক্ষুব্ধ হলে ঐ স্বামীকে আদালতে মামলা দায়ের করে তালাক নোটিসে উল্লেখিত কারণ / কারণগুলি বিষয়ে মোকাবিলা করতে হবে। এজন্য স্বামীকে তালাক নোটিশ (উল্লেখ্য তালাক কার্যকর হতে ৯০ দিন সময় লাগে) পাওয়ার পর অথবা তালাক কার্যকর হওয়ার পূর্বেই অবশ্যই ৯০ দিনের মধ্যেই আদালতে মামলা করতে হবে এবং ঐ স্ত্রী ২য় বিবাহে আবদ্ধ হইতে না পারে তদজন্য আদালতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আবেদন করতে হয়। ঐ স্ত্রী আদালতে তালাক নোটিসে উল্লেখিত কারণ /কারণগুলি প্রমানে ব্যর্থ হলে বা প্রমান করতে না পারলে বা মিথ্যায় প্রতিপন্ন হলে বা কারণ / কারণগুলি দ্বারা মুসলিম বিবাহ বিচ্ছেদ আইন অনুসারে ডিক্রি পাওয়ার অধিকারিণী না হয় তাহলে তালাক কার্যকর হবে না বিধায় বিবাহ বলবৎ থাকে। এমতাবস্থায় আদালত ঐ স্ত্রীকে তাঁর স্বামীর বাড়ি ফিরে যেতে বলবেন। স্ত্রী স্বামীর বাড়ি ফিরে গেলে নির্যাতন হতে পারে বা দেনমোহর দাবি ত্যাগ করে তালাক বা স্বেচ্ছায় আলাদা বসবাস করবেন এমন অজুহাতে বিবাহ চুক্তি ভঙ্গ করলে আদালত যেকোনো আদেশ দিতে পারেন। আবার / কিন্তু স্ত্রী মামলায় তালাক নোটিসে উল্লেখিত কারণ / কারণগুলি সঠিক প্রমান করতে পারলে বা মামলায় স্বামী হারিয়ে গেলে আদালত যোগে তালাক কার্যকর হবে এবং ঐ আইনের ৫ ধারা অনুসারে দেনমোহর পাওয়ার অধিকারিণী হইবে।
খ) স্বামী তালাক মেনে নিলে :
স্ত্রী কর্তৃক স্বামী তালাক নোটিশ উল্লেখিত কারণ/কারণগুলি স্বামী যদি মেনে নেন তাহলে তালাক নোটিশটি ৯০ দিন পর তালাক কার্যকর হবে এবং মুসলিম বিবাহ বিচ্ছেদ আইনের ৫ ধারা অনুসারে ঐ স্ত্রী দেনমোহর পাওয়ার অধিকারিণী হইবে। এক্ষেত্রে ঐ স্ত্রী দেনমোহর আদায়ের জন্য পারিবারিক আদালতে মামলা করলে আদালত ঐ দম্পতির কাবিননামায় উল্লেখিত দেনমোহর বা বকেয়া দেনমোহর পরিশোদের আদেশ দিবেন স্বামীকে।
স্ত্রী / তালাক দাতা: (নিজের জন্য তালাক নোটিশ কপি )
স্ত্রী বা তালাক দাতা নিজের কাছে ১ কপি রাখবেন বা সংরক্ষণ করবেন।
কাজী অফিসে তালাক রেজিস্ট্রি : (৩ নং কাজীর জন্য তালাকের নোটিশ)
কাজী অফিস বা বিবাহ ও তালাক রেজিস্ট্রি অফিস গিয়ে তালাক রেজিস্ট্রি করতে হবে এজন্য তালাক নোটিশের ১ কপি কাজী অফিসে দিয়ে তালাক রেজিস্ট্রি করে নিতে হবে। তালাক রেজিস্ট্রি বিবাহ রেজিস্ট্রি মতোই গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট।
২. আদালতের মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদ বা তালাক:
তালাকে তফউইজ দেয়া না থাকলে ঐ বিবাহিত স্ত্রীলোক কে আদালতে নিম্নেপ্রদত্ত মুসলিম বিবাহ বিচ্ছেদ আইনের ধারা, উপধারার এক বা একাধিক কারণে/ অভিযোগে বিবাহ বিচ্ছেদ বা তালাক চেয়ে মামলা দায়ের করতে হবে। আদালতে অভিযোগ সত্য প্রমাণিত করতে পারলে বিবাহ বিচ্ছেদ বা তালাকের আদেশ /ডিক্রি দেবার পর সাত দিনের মধ্যে একটি চিঠি সত্যায়িত কপি আদালতের মাধমে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান /মেয়র এর নিকট পাঠাবে। (আদালতে আনীত কারণ /কারণগুলি (অভিযোগ) প্রমানের দায়িত্ব ঐ বিবাহিত স্ত্রীলোকের)
স্ত্রী কর্তৃক আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদ বা তালাকের কারণ /কারণগুলি (অভিযোগ) নিয়ে ২ ধরণের ফলাফল পাওয়া যায়:
ক) অভিযোগ প্রমান করতে পারলে: খ) অভিযোগ প্রমান করতে না পারলে:
ক) অভিযোগ প্রমান করতে পারলে:
স্ত্রী আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদ বা তালাক এর আবেদন করলে আদালতের নোটিশ স্বামী পাওয়ার পর আদালতে একতরফা সূত্রে (স্বামী/বিবাদী আদালতের নোটিশ পেয়ে আদালতে উপস্থিত না থাকলে) অথবা উভয় পক্ষ (স্বামী স্ত্রী আদালতে হাজির হয়ে) নোটিশ উল্লেখিত কারণ/কারণগুলি বিষয়ে শুনানি শেষে /শুনানি অন্তে কারণ/কারণগুলি স্ত্রী আদালতে প্রমান করতে সক্ষম হলে ঐ স্ত্রী তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদ এর আদেশ বা ডিক্রি পায় তাহলে মুসলিম বিবাহ বিচ্ছেদ আইনের ৫ ধারা অনুসারে দেনমোহর পাওয়ার অধিকারিণী হইবে। এক্ষেত্রে স্ত্রী পারিবারিক আদালতে দেনমোহর আদায়ের মামলা করলে আদালত শুনানি শেষে দেনমোহর পরিষদের আদেশ দিবেন স্বামীকে।
AvBb eB
খ) অভিযোগ প্রমান করতে না পারলে:
স্ত্রী আদালতের মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদ এর আবেদন করলে আদালতের নোটিশ স্বামী পাওয়ার পর আদালতে পক্ষ নিয়ে বা হাজির হয়ে নোটিশ উল্লেখিত কারণ/কারণগুলি বিষয়ে জবাব দিয়ে মোকাবিলা করতে হবে। স্ত্রী আদালতে মামলায় কারণ/কারণগুলি বিষয়ে শুনানি অন্তে আদালতে প্রমান করতে সক্ষম না হলে বা প্রমানে বার্থ হলে বা মিথ্যায় প্রতিপন্ন হলে বা কারণ/কারণগুলি দ্বারা বিবাহ বিচ্ছেদ এর ডিক্রি পাওয়ার অধিকারীনি না হয় তাহলে তালাক কার্যকর হবে না বিধায় বিবাহ বলবৎ থাকে। এমতবস্থায় আদালত ঐ স্ত্রীকে তার স্বামীর বাড়ি ফিরে যেতে বলবে। স্ত্রী স্বামীর বাড়ি ফিরে গেলে নির্যাতন হতে পারে বা দেনমোহর দাবি ত্যাগ করে তালাক বা স্বেচ্ছায় আলাদা বসবাস করবেন এমন যেকোনো অজুহাতে স্ত্রী বিবাহ চুক্তি ভঙ্গ করলে আদালত যেকোনো আদেশ দিতে পারেন।
৩। খোলা তালাক:
স্ত্রী যদি মনে করেন তিনি আর তাঁর স্বামীর সংসার করবেন না স্বেচ্ছায় স্বামীর থেকে মুক্তি বা বিবাহ বিচ্ছেদ চান তাহলে ঐ স্ত্রী দেনমোহর ত্যাগ করে (যে আমি দেনমোহরের পুরা টাকা মাফ করে দিলাম ) এক্ষেত্রে স্ত্রী প্রথমে তাঁর স্বামীকে বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য প্রস্তাব দিবেন এবং স্বামী প্রস্তাবটি গ্রহণ করলে (স্বামী-স্ত্রী সম্মতিতে) সেই তালাক কে খোলা তালাক বলে। উল্লেখ্য এই খোলা তালাকে স্ত্রী দেনমোহর দাবি করতে পারেনা।
স্ত্রী আদালতের মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদ এর আবেদন করলে আদালতের নোটিশ স্বামী পাওয়ার পর আদালতে পক্ষ নিয়ে বা হাজির হয়ে নোটিশ উল্লেখিত কারণ/কারণগুলি বিষয়ে জবাব দিয়ে মোকাবিলা করতে হবে। স্ত্রী আদালতে মামলায় কারণ/কারণগুলি বিষয়ে শুনানি অন্তে আদালতে প্রমান করতে সক্ষম না হলে বা প্রমানে বার্থ হলে বা মিথ্যায় প্রতিপন্ন হলে বা কারণ/কারণগুলি দ্বারা বিবাহ বিচ্ছেদ এর ডিক্রি পাওয়ার অধিকারীনি না হয় তাহলে তালাক কার্যকর হবে না বিধায় বিবাহ বলবৎ থাকে। এমতবস্থায় আদালত ঐ স্ত্রীকে তার স্বামীর বাড়ি ফিরে যেতে বলবে। স্ত্রী স্বামীর বাড়ি ফিরে গেলে নির্যাতন হতে পারে বা দেনমোহর দাবি ত্যাগ করে তালাক বা স্বেচ্ছায় আলাদা বসবাস করবেন এমন যেকোনো অজুহাতে স্ত্রী বিবাহ চুক্তি ভঙ্গ করলে আদালত যেকোনো আদেশ দিতে পারেন।
৩। খোলা তালাক:
স্ত্রী যদি মনে করেন তিনি আর তাঁর স্বামীর সংসার করবেন না স্বেচ্ছায় স্বামীর থেকে মুক্তি বা বিবাহ বিচ্ছেদ চান তাহলে ঐ স্ত্রী দেনমোহর ত্যাগ করে (যে আমি দেনমোহরের পুরা টাকা মাফ করে দিলাম ) এক্ষেত্রে স্ত্রী প্রথমে তাঁর স্বামীকে বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য প্রস্তাব দিবেন এবং স্বামী প্রস্তাবটি গ্রহণ করলে (স্বামী-স্ত্রী সম্মতিতে) সেই তালাক কে খোলা তালাক বলে। উল্লেখ্য এই খোলা তালাকে স্ত্রী দেনমোহর দাবি করতে পারেনা।