নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০
২০১৮
সালে সবর্শেষ সংস্করণ আইন বই হতে নেয়া
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০
ধারাঃ -১১। যৌতুকের জন্য মৃত্যু ঘটানো, ইত্যাদির শাস্তিঃ
যদি কোন নারীর স্বামী অথবা স্বামীর পিতা, মাতা, অভিভাবক, আত্মীয় বা স্বামীর পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি যৌতুকের জন্য উক্ত নারীর মৃত্যু ঘটান বা মৃত্যু ঘটানোর চেষ্টা করেন, ["কিংবা উক্ত নারীকে মারাত্বক জখম (Grievous
Hurt) করেন বা সাধারণ জখম (Simple
Hurt) করেন'] তাহা হইলে উক্ত স্বামী, স্বামীর পিতা, মাতা, অভিভাবক, আত্মীয় বা ব্যক্তি-
(ক) মৃত্যু ঘটানোর জন্য মৃত্যুদন্ডে বা মৃত্যু ঘটানোর চেষ্টার জন্য যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং উভয় ক্ষেত্রে উক্ত দন্ডের অতিরিক্ত অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন;
(খ) মারাত্বক জখম (Grievous
Hurt) করার জন্য যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডে অথবা অনধিক ১২ (বার) বৎসর কিন্তু অনুন্য ৫ (পাঁচ) বৎসর সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং উক্ত দন্ডের অতিরিক্ত অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন;
(গ) সাধারণ জখম (Simple
Hurt) করার জন্য অনধিক ৩ (তিন) বৎসর কিন্তু অনুন্য ১ (এক) বৎসর সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং উক্ত দন্ডের অতিরিক্ত অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন;
ধারা-১৭। মিথ্যা মামলা, অভিযোগ দায়ের ইত্যাদির শাস্তিঃ
(১) যদি কোন ব্যক্তি অন্য কোন
ব্যক্তির ক্ষতিসাধনের অভিপ্রায়ে উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই আইনের অন্য কোন ধারার অধীন
মামলা বা অভিযোগ করিবার জন্য ন্যায্য বা আইনানুগ কারণ নাই জানিয়াও মামলা বা অভিযোগ
দায়ের করেন বা করান, তাহা হইলে মামলা বা অভিযোগ দায়েরকারী ব্যক্তি এবং যিনি অভিযোগ
দায়ের করেছেন, উক্ত ব্যক্তি অনধিক ৭ (সাত) বৎসর সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত হইবেন এবং ইহার
অতিরিক্ত অথর্দন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন।
(২) কোন ব্যক্তির লিখিত অভিযোগের
ভিত্তিতে ট্রাইবুনাল উপ-ধারা (১) এর অধীন সংঘটিত অপরাধের অভিযোগ গ্রহন ওমামলার বিচার
করিতে পারিবে।
-0-